বাইটকামারী কুত্তামারা গ্রাম যেমন চেয়ারম্যান তেমন মেম্বার বেড়িয়ে আসছে আরও সন্ত্রাসের খবর

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি:
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বাইটকামারী কুত্তামারা গ্রাম গত ২৫ এপ্রিল ইউ পি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের পিস্তলের গুলিতে নিহত হয় ইদ্রিস আলী নামে এক যুবক। থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগের সূত্রে জানাযায় —তার মাত্র কয়েক দিন আগে ২১ এপ্রিল দিবাগত রাতে কুত্তামারা গড়াকুড়া মসজিদ বাজারে ভাংচুর হয় ক্লাব ঘর। রাতের আধারে স্থানীয় ইউপি সদস্য জমশেদ আলী মেম্বার ও তার ভাইয়েরা মিলে একটি টিনসেট ঘর ও দামী আসবাব পত্র সহ এল ই ডি টিভি ভাংচুর করে। মারপিট করে পাহারাদার সিরাজ আলীকে।
পাহারাদার সিরাজ আলী জানান – তিনি বাথুয়ার কান্দা কুত্তামারা বাজারের পাহারাদার ঐদিন তিনি বাজার পাহাড়ার জন্য ক্লাব ঘরে অবস্থান করছিলেন গভীর রাতে স্থানীয় জমশেদ মেম্বার তার ভাই নওশেদ আলী বাদশা মিয়া রহুল এনামুল খোরশেদ সহ ২০ থেকে ২৫ জন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বাজারে প্রবেশ করে। পাহারদার বলেন —-জমশেম মেম্বার, নওশেদ, রহুল, এনামুল খোরশেদ ও বাদশা ক্লাব ঘরে ঢুকে, আমি চিৎকার দিলে বাদশা আমার মুখে শাবুল ডুকিয়ে দেয়। চিৎকার করতে নিষেধ করে। আমার একটি দাঁত ভেঙ্গে দিয়েেছ। তারা প্রায় ৪০ মিনিট সময় ক্লাব ঘরটি ভাইঙগা মাটির সাথে মিশায়াদেয়। টেবিল চেয়ার টিভি আলমারী তছনছ কইরাদেয়।
এলাকাবাসী জানায় — বাথুয়ার কান্দা মৌজায় ইলিমন্ডলের পরবর্তী অংশিদার থেকে আক্কাছ আলী, রুস্তম আলী সাব কবলা জমি কিনে ৩০ শতক জমি মসজিদের নামে আজ থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগে ওয়াকফ করেদেয়। এই মসজিদের জমিতে সেই থেকে যুবসমাজের ক্লাবঘর। এই বার উপজেলা নির্বাচনে নৌকা মার্কার নির্বাচনী অফিস ছিল। অফিসে দামী আসবাবপত্র সহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিল। তারা ছবি ছিড়ে তছনছ করেছে।
জয় বাংলা স্পুটিং ক্লাবের সভাপতি মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় অভিযোগ করলে জমশেদ মেম্বারের পরিবার থেকে হুমকি আসে। মোক্তার অবরুদ্ধ হয় নিজ বাড়ীতে। ২৫ তারিখ চেয়ারম্যানের গুলিত হত্যাকান্ড সংগঠিত হওয়ার পর মেম্বার গংদের বিরুদ্ধে অভিযোগ চাপা পড়ে। জানাগেছে এই অভিযোগের ব্যপারে এস আই ওয়ারেছ কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যপারে স্থানীয় জমশেদ আলী মেম্বার ও নওশেদ আলীর সাথে কথা হলে তারা ঘর ভাংচুরের কথা স্বীকার করে বলেন ঐ জমি আমরা কিনে নিয়েছি, ঐ খানে মসজিদের কোন জমি নাই।