মেহেদী হাসান,চবি প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এবার প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাঁচদিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু বইমেলা-২০১৯। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী স্মরণ করে রাখার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ ও চট্টগ্রামের সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সমন্ময়ে আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ০২ মে পর্যন্ত এই বই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপাচার্যের সভা কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান চবি রেজিস্টার কে. এম. নুর আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিবুদ্ধির চর্চাকে সমুন্নত রাখতে ও শিক্ষার্থীদের বইপড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মবান্ডকে উৎসাহিত করা এবং সর্বোপরি দেশের প্রকাশনা শিল্পের বিকাশে সহযোগীতা করবে এই মেলা।
বইমেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই মেলা প্রাঙ্গনে লেখক-পাঠক আড্ডা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ও বাইরের লেখক পাঠকরা অংশগ্রহণ করবেন। এই বই মেলায় স্টল বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আবেদর ফর্ম পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ৬২৭ নং কক্ষে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ সংলগ্ন ঝুপড়ির ‘নন্দন বইঘরে’। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আগামীকাল বিকেল চারটার মধ্যে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো আবেদন ফরম জমা দিতে পারবে”।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়,”এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়মিত বই মেলা হোক।আমরা বিশ্বাস করি মেধা বিকাশে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম.নূর আহমদের সভাপতিত্বে রবিবার উদ্বোধনী এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড.ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড.শিরীণ আখতার।মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবে চবির বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক প্রফেসর ড.ভুঁইয়া ইকবাল এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড.মোঃ মুহীবুল আজিজ,যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর আলী আজগর চৌধুরি ও সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন।
চবি উপাচার্য প্রফেসর ড.ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শততম জন্মবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে আমরা এধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে জানতে এবং শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে এ ধরনের আয়োজন করেছি। আমি চাই সামনে এই বইমেলা অব্যাহত থাকবে। উক্ত মেলায় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের একটি স্টল থাকবে সেখানে প্রত্যেক বিভাগের জার্নাল ও বই পাওয়া যাবে এবং ওই সমস্ত বই ও জার্নালের উপর(২৫- ৩০)%ছাড় দেওয়া হবে।