লালমোহাম্মদ শেরপুরঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গজনী অবকাশ কেন্দ্র জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। সরকারের খাস খতিয়ান ভুক্ত ১০০একর ভূমিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় গড়ে তুলেন জেলার গজনী পার্ক। গজনী পার্কে (গজনী অবকাশ কেন্দ্র) এক শ্রেনী দখলদার সরকারী খাসজমি দখল করে পার্ক কেন্দ্রীক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে ব্যবসা-বাণিজ্য। তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছে অবাধে কিন্ত দিচ্ছে না কোনপ্রকার রাজস্ব। পার্কে জেলা প্রশাসনের নিকট যারা ইজারা নিয়ে ব্যবসা করছে তারা পড়ছে বিপাকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে গজনী অবকাশে প্রবেশ পথে বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সরকারী খাস জমিতে। খাস জমিতেই মুলত গড়ে উঠেছে এই পার্ক। অথচ সরকারী জমিতে গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ভূমি দাবী করে দিনের পর দিন রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। জেলা প্রশাসনের তাতে নেই কোন খবরদারী। প্রবেশ পথেই ব্যক্তি মালিকানার দাবীদার পাহাড়ী বস্ত্রালয়ের মালিক মোঃজাকির হোসেনের সাথে কথা হলে জনান তিনি দুই শতক জমি ক্রয় সুত্রে মালিক তার নিজ ভূমিতে পার্কে ব্যবসা করছে তাই তিনি রাজস্ব দেন না। তার নিকট জমির কাগজ পত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে কোন প্রকার কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। একটু অগ্রসর হয়ে দেখাগেল জাকির হোসেনের আরও একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি পার্ক কেন্দ্রীক মধুকুঞ্জ। আগত ভ্রমন প্রিয়াসু পর্যটকদের জন মধুকুঞ্জে রয়েছে রান্নার ব্যবস্থা ও বিশ্রাম করা সহ আড্ডা দেওয়ার নিরব পরিবেশ। মহিলা-পুরুষের ফ্রেস হওযার কক্ষ। ৩ জন সংবাদ কর্মী ৩০ টাকা পরিশোধ করে প্রবেশ করার সময় কোন প্রকার রশিদ না দেওয়াতে জিজ্ঞেস করে জানাগেল এটাও জাকির হোসেনের ব্যক্তি মালিকানার, যে কারনে রশিদ দিতে হয় না। মধুকুঞ্জে আড়ালে আগডালে বাড়তি কোন সুযোগ রয়েছে কিনা খোজঁ নিয়ে বোঝাগেল কোন ব্যবস্থা না থাকলেও বহিরাগত যারা প্রবেশ করে তাদের জন্য অনেকটা নিরাপদ। ভেতরে অনৈতিক কিছু ঘটলে বাহির থেকে কেউ বুঝতে পারবে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেল জাকির হোসেন সরকারী খাস খতিয়ানের জমিতে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অনুমোদনবিহীন ব্যবসা পরিচালনা করছে।
তাছাড়া জাকিরহোসেনের বিরুদ্ধে পার্কে বন্ধোবস্ত নেয়া ব্যবসায়ীদের ও খেটে খাওয়া শ্রমিকদের রয়েছে নানা অভিযোগ –ইজারা নেওয়া খেলনার দোকান মালিক লুৎফর রহমান বলেন পার্কে ঢুকতে সরকারী জমি দখল নিয়ে ব্যবসা করছে, তারা খাজনা দেয় না। পার্কে মোট ৮০ টি দোকান এর মধ্যে ২০ টি দোকান খাজনা দেয় না। দোকানদার কমর উদ্দিন জানান — পার্কে জাকির হোসেন প্রভাবশালী, পার্কের সন্মুখে সরকারী জমিতে গড়েতুলেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পর্যটকদের তার প্রতিষ্ঠানর বাধ্য করে। তার কিছু খারাপ প্রকৃতির লোক আছে। স্থানীয় ইউ পি সদস্য তোফাজ্জলের ভাগ্নে ফক্কুর নেতৃত্বে জাকির হোসেন এর হয়ে কাজ করে। চিড়িয়াখানার ইজারাদার ফরিদ আহমেদ জানান ইজারা নেওয়া দোকান গুলিতে অইজারা নেওয়া দোকানদার মধ্যে আগত দর্শনার্থীদের টানা হেচড়া নিয়ে দ্বন্ধ আছে। ইজারাদার ও অ ইজারাদারদের এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে পার্কের ক্ষতি।
পার্কের ব্যবসায়ীগন জনান। পার্কের সরকারী জমি দখল মুক্ত করে আরও প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে রাজস্ব বৃদ্ধি সহ সৌন্দর্য হবে।