অনুভূতির অনল
অনন্যা জান্নাত
হৃদয়-অলিন্দে বয়ে চলেছে সুখ-দুঃখের জোয়ার-ভাটা!
উপচে পড়া নগ্নতা আজ হাত
বাড়িয়ে ছুঁতে চাইছে তোমায়;
গভীর কালো ঐ চোখ থেকে নির্গত অনলে যেনো পুড়ে ছারখার
হয়ে যাচ্ছি ক্রমশই!
তোমার স্নিগ্ধ হাসির প্লাবনে ফুটে গেছে হৃদয়ের
সমস্ত ফুল;
কৃষ্ণচূড়ার আগুন ছোঁয়ানো
ঝলসিত ঐ মুখে এঁকে দিতে মন চাইছে গভীরতম চুম্বন!
তোমার পলকহীন চাহনিতে ঘুচে যাচ্ছে যেনো
না পাওয়ার সমস্ত রিক্ততা;
গভীর দৃষ্টির ক্ষিপ্রতায়
বুকের মধ্যে বয়ে যাচ্ছে কালবৈশাখীর মাতন;
ঐ চোখের গভীরতম সমুদ্রে যেনো হারিয়ে
ফেলেছি নিজেকে!
তোমার নিবিড় স্পর্শে সমুদ্রবক্ষে যেনো জেগে
ওঠে ভালোবাসার উপচে পড়া ঢেউ;
উষ্ণ আলিঙ্গনে প্রকৃতিতে যেনো নেমে আসে
বসন্ত;
ঝরাপাতার শোক যেনো নাড়িয়ে দিয়ে
যায় ভেতরটা!
গোধূলির রক্তিম আভা গায়ে মাখিয়ে নৈসর্গিক
প্রকৃতির সাথে তুমি যেনো মিলেমিশে
একাকার হয়ে যাও;
তোমার ঠোঁটের নীচের ঐ আবছা কালো তীলে
যেনো গভীর আঁধার ঘনিয়ে আসে
এই ধরিত্রীর বুকে!
তোমার শরীরের গন্ধে মাতাল হয়ে যাওয়া
আমার আমিটা সমসময় যেনো
গভীর প্রণয়ী সুরে অবুঝের মতো তোমায়
কাছে টানতে থাকে
আর তুমি সরে থাকো
দূরে কি ভীষণ নির্লিপ্ততায়;কি ভীষণ
উদাসীনতায়;
শূন্যতার উঠোন জুড়ে হেঁটে চলে যাও কি
ভীষণ অবলীলায়!