পূর্বময় ডেস্ক ঃ মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে এ বিষয়টিকে প্রতিপাদ্য করে সমস্ত জরাজীর্ণকে ভুলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারাদেশে বরণ করে নেয়া হলো বাংলা নতুন বছরকে। সার্বজনীন এ উৎসবে জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ এতে অংশগ্রহণ করে। বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানগুলো অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীকে পরিণত হয়। ময়মনসিংহেও বর্ষবরণ উদযাপন পর্ষদ ১৪২৬ এর উদ্যোগে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন এর আয়োজনে ও ময়মনসিংহ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। এই দিনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার জন্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবি ও ছাত্রসংগঠনসহ নানা শ্রেনীপেশার মানুষ ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী স্কুল মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে জমায়েত হয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গাঙ্গিনাপাড়, নতুন বাজার, টাউনহল হয়ে জয়নুল উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। এ মঙ্গল শোভাযাত্রায় স্থান পায় গ্রাম বাংলার আবহমান ঐতিহ্য। গরুর গাড়ি থেকে শুরু করে বাবুই পাখির বাসা, মাতলা, বুইন্দা, বাইর, উড়ি, খালই, চরকা, বাউল, কবিয়াল, রাখাল বাঁশি, জারি দল, ঢেঁকিতে ধান ভানা, রিকশায় শাড়ী বাঁধা নাইওর, পুঁথিপাঠ, আদিবাসী সংস্কৃতিসহ নানা ঐতিহ্য। ছিল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের তৈলচিত্র। দীর্ঘ এ শোভাযাত্রাটি যেন সুশৃঙ্খল ভাবে শেষ হয় তার জন্য ছিল স্কাউট ও স্বেচ্ছাসেবক। যারা দীর্ঘ সারির শৃঙ্খলা ধরে রাখার জন্য কাজ করে গেছে। এছাড়াও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য ছিল ডাক্তার এবং জরুরী প্রয়োজনে ছিল এম্বুল্যান্স। শোভাযাত্রার শেষে বৈশাখী মঞ্চে মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিল্পীবৃন্দ পরিবেশন করে আকর্ষণীয় নৃত্যালেখ্য। এছাড়াও উদীচী, সসন্দীপন সাংস্কৃতিক সংস্থা,লোককৃষ্টি সংস্থা, মুখোশ নাট্য সংস্থার শিল্পীবৃন্দ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। আনন্দ শোভাযাত্রায় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড জহিরুল হক খোকা, সেক্রেটারি এড.মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠান, সাবেক সিটি প্রশাসক মোঃ ইকরামুল হক টিটুসহ মুকুল ফৌজ ও মুকুল নিকেতনের ৪৫ টি দল সহ অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।