“দেবদূত”
অনন্যা জান্নাত
এলোমেলো জীবনটাকে গোছাতে কোথা থেকে যেনো হঠাৎ করে একজন দেবদূত এসেছে;
যে আমার সকাল,দুপুর,সন্ধ্যে
আর রাত্রিটাকে রংধনুর বর্ণিল ঐ সাত রংয়ে রাঙিয়ে দিয়ে যাচ্ছে!
আমি মাঝে মাঝে অবাক চোখে চেয়ে থাকি সেই
দেবদূতের মুখের পানে;
ঐ মুখেতে
ঈশ্বর যেনো এক অদ্ভুত সরলতা মাখিয়ে
দিয়েছেন;
যে সরলতা আমায় নিরন্তর
তাঁর কাছে টানতে থাকে।
আর যখন তাঁর ঐ গভীর কালো চোখের দিকে
তাকাই তখন দেখি সেখানে সুবিশাল একটা
নীল আকাশ;
যে আকাশে রাত-দিন
কেবল আমার অবাধ বিচরন
আর যে আকাশের একমাত্র নাটাই বিহীন
ঘুড়িটাও এই আমি।
বয়ে চলা জীবনের তীর ঘেঁষে হঠাৎ তুমি
এলে;
ছুঁয়ে দিয়ে গেলে এ বুকের পাঁজর!
এলে ছন্দহীন জীবনের জলতরঙ্গ হয়ে;এলে
বুকের বাঁ পামের অসীম আকাশ হয়ে;
এলে অনুভূতির কালবৈশাখী হয়ে;
এলে হৃদয়ের মাঝখানটাকে এফোড় ওফোড়
করে দেওয়া শূন্যতাকে হাওয়ায়
মিলিয়ে দিতে!
তোমার ছুঁয়ে যাওয়া হৃদয়ের চারপাশে তুমি যে
এখন আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছো
প্রিয়তম;
তাই চাইলেও নিজের থেকে এখন আর
তোমাকে আলাদা করতে পারি না
প্রাণেশ্বর;কিছুতেই পারি না!
বুকের মাঝখানটাতে কষ্টের একটা সুবিশাল
সমুদ্র ছিলো;
যেখানে ছিলো গভীর বেদনার
নিয়ন্ত্রণহীন উপচে পড়া ঢেউ;
তুমি এসে দাঁড়ালে সেই বেদনার বাঁধ
হয়ে;শুষে নিলে এই জীবনের সমস্ত যাতনা!
জীবনবিমুখ হয়ে পড়া এই আমার আমিটাকে
নতুন করে সাজালে;উষ্ণ চুমুতে ভরিয়ে
দিলে শরীর-আত্মা-মন!