লালমোহাম্মদ, নালিতাবাড়ীঃ
শেরপুরের নালিতাবাড়ী কাকর কান্দি ইউনিয়নের সোহাগ পুর বীরকন্যা পল্লীতে (বিধবা পল্লী) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুব বিধবা মায়েদের মাঝে শাড়ী বিতরন ও ব্রাকের প্রত্যেক জনকে ৪ হাজার ৮ শত টাকা প্রদান করছেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভুমি)লুবনা শারমিন ও কাকরকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ তালুকদার মুকুল উপস্থিত ছিলেন। ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ২৫ জুলাই কাকডাকা ভোরে স্থানীয় আলবদর রাজাকার পাকিস্তানি হায়েনার আক্রমন চালিয়ে পাখির মত গুলি করে হত্যা করে পুরুষ শূন্য করে। ১৮২ জন নারী হয় বিধবা। রাস্ট্র ও সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠন ও সর্বোপরি সাবেক কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর পৃষ্ঠ পোষকতায় বিধবাদের হয়েছে রাস্ট্রীয় স্বীকৃতি বিরঙ্গনা খেতাব পেয়েছে ১১ জন বিধবা১ জন পক্রিয়া ধীন । স্বাধীনতা পরবর্তী অর্ধ শত বছর পরও বেঁচে আছে২৭ জন বিধবা। স্থাপিত হয়েছে স্মৃতি ফলক।বিধবাদের মুক্তিযুদ্ধের সরকার দিয়েছে ঘর।সোহাগপুর গনহত্যার বিচারে ফাঁসি হয়েছে কামারুজ্জামানের।একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূলকমিটির সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহম্মদ ও সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক লাল মোঃ শাহজাহান কিবরিয়ার নেতৃত্বে সোহাগপুর বিধবা পল্লীতে হয়েছে গন সমাবেশ। সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জমান নুর নির্মুল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির সাধারন সম্পাদক কাজী মুকুল উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন করেন সাবেক সেনা প্রধান কেএম শফিউল্লাহ, অরমা দত্ত, সাংবাদিক হারুন হাবিব সহ দেশবরন্য ব্যক্তি। ৭৫ পরবর্তী সময়ে এই ঐতিহাসিক গনহত্যার ইতিহাস চাপা পড়েছিল। স্থানীয় সাংবাদিকদের লেখনি বেগম মতিয়া চৌধূরীর পৃষ্ঠপোষকতা, আওয়ামীলীগ নেতা (উপজেলা চেয়ারম্যান)মোকছেদুর রহমান লেবু,সরকার গোলাম ফারুক, রেজাউল করিমরেজা,ও শহীদুল্লাহ তালুকদার মুকুলের আন্তরিক সহযোগীতায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পতায় স্থান পেয়েছে।