নালিতাবাড়ী ( শেরপুর )প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার মো.দেলোয়ার হোসেনকে গত মঙ্গলবার সকালে মারধর করার অভিযোগে শিশু রোগীর পিতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি স্বারকলিপি দিয়েছে হাসপাতাল কর্র্তপক্ষ ।
লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, পৌরশহরের কাচারিপাড়া মহল্লার মো.জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি তার শিশু সন্তানকে মাথা ফাটা অবস্থায় সকাল ৮.১২ মিনিটে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। এ সময় জরুরী বিভাগে এসে কাওকে না পেয়ে অপেক্ষা করতে থাকে । বেশ কিছুক্ষণ পর উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো.দেলোয়ার হোসেন জরুরি বিভাগে উপস্থিত হওয়ার পর শিশুর পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন ক্ষুদ্ধ হয়ে এলোপাথারি মারধোর শুরু করে। এতে দেলোয়ার আহত হয়। এ ঘটনায় জের ধরে হাসপাতালের কর্তব্যরত সকল চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো: জাহিদ হাসান স্বাক্ষরিত স্বারক লিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রদান করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মো.নাজমুল হোসেন রুবেল বলেন,জাহাঙ্গীরের ছেলেকে মাথা ফাটা অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসে জরুরী বিভাগে কাওকে না পেয়ে আমাকে ফোন দেয়। আমি এসে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত দেলোয়ারকে ফোন দেই। সে কয়েক মিনিট দেরীতে আসার পথেই জাহাঙ্গীর হোসেন ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে মারধোর করতে থাকে। তখন আমি জাহাঙ্গীরকে ঝাপটে ধরে দুরে সড়িয়ে নিয়ে যাই।
আহত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি রাত সারে তিনটা পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলাম। সকালে আমি বাহিরে চা খাইতে যাই। এই ফাঁকে একজন রোগি আসে আমি বুঝতে পারি নাই। খবর পেয়ে আমি দ্রুত জরুরি বিভাগে যাওয়ার সময় জাহাঙ্গীর আমাকে টুল দিয়ে বেধরক মারধোর শুরু করে।
মো.জাহাঙ্গীর হোসেনের ফোন নাম্বারে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আবুল খায়ের বলেন, হাসপাতালের ঘঠনায় একজনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। আসামী ধরার ব্যাপারে পুলিশী অভিযান চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আরিফুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।