বাবলী আকন্দঃ তরুন বয়সই যুদ্ধে যাবার সময়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সময়, সৃষ্টি করার সময় এখন তাদেরই। তাই এ বয়সেই শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে মেধাবী হয়ে জাতির জনকের আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় ভূমিকা রাখবে।
২০১৭ ও ২০১৮ সালের এস এস সি / সমমান পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এককালীন বৃত্তির চেক বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, এমপি। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের মেধা দিয়ে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার আহবান জানান। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তাগন বলেন, পড়াশোনার মাধ্যমেই কৃতিত্বের দাবী নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে শিক্ষার্থীদের। মাদক ও জঙ্গিবাদকে না বলে মোবাইলসহ অন্যান্য দিকে কম সময় দিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে ভালো রেজাল্ট করে শিক্ষার্থীদের নিজেদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্বাচন করতে হবে। বর্তমান সরকার শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। মেধাবীদের কাছে রাষ্ট্রের চাহিদা আছে। তাই মেধাবীদের দেশের কল্যানে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় কাজ করতে হবে।
ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের আয়োজনে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের এস এস সি / সমমান পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ প্রায় ১৩০০( এক হাজার তিনশত) জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩৩,৭০,৫০০/-(তেত্রিশ লক্ষ সত্তর হাজার পাঁচশত) টাকার এককালীন বৃত্তির চেক বিতরণ করা হয় আজ। এদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ৫২ জন শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ পেয়েছেন। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) নিরঞ্জন দেবনাথ, জেলা প্রশাসক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশসুপার হুমায়ুন কবির, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বনানী বিশ্বাস, ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম,জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড জালালউদ্দিন খান, জেলা পরিষদের শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ আবু বকর সিদ্দিক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মমতাজউদ্দিন ও প্যানেল চেয়ারম্যান -০৩ ফারজানা শারমীন। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য এইচ এম খায়রুল বাসার। চেক বিতরণ শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।