ডেস্ক রিপোর্ট:
প্রকাশ্যে দিবালোকে শ্যামনগর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা যায় রমজান নগর ইউনিয়নের ক্ষুদ্র বাগদা পোনা ব্যবসায়ী বিভূতি বিশ্বাস যিনি বিভিন্ন মৎস্য ব্যবসায়ীদের নিকট পোনা পৌঁছে দিয়ে থাকেন। গত রবিবার (৩১ শে মার্চ ২০১৯) দুপুরে শ্যামনগর থানার এসআই হাবিব ও এসআই রোকন বাগদার রেণু পোনা সহ বিভূতি বিশ্বাসকে আটক করে। একপর্যায়ে তাকে জিম্মি করে নগদ ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হওয়ায় ২০ হাজার টাকা দিতে অপারগতা থাকায় তাকে এবং তার পোনা সহ শ্যামনগর থানায় নিয়ে যায়। এরপর শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিল হোসেন এর সম্মুখে ০৮ হাজার টাকা দাবি করেন। পরবর্তীতে তার নিকট থাকা নগদ ০৪ হাজার টাকা দিয়ে এবারের মত মাফ পায়।
কিন্তু আরও শর্ত থাকে যে প্রতি মাসে থানা পুলিশকে ব্যবসার ভাগ না দিলে তাকে ব্যবসা করতে দেবে না বলেও শ্যামনগর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভূতি মন্ডল কে হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিল হোসেন বলেন, বিষয়টা আমি শুনেছি, আমি দেখছি কি করা যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বিভূতি বিশ্বাস বলেন, আমি ক্ষুদ্র গরীব ব্যবসায়ী। বিভিন্ন হ্যাচারী থেকে পোনা ক্রয় করে ঘের ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে সংসার নির্বাহ করি। তারপরও থানা পুলিশের এরকম বানিজ্যে আমাদের ব্যবসা করা সম্ভব হবে না। আমি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।