সোনাবন্ধু,
শুভেচ্ছা নিও। ভালোবাসা জানিও। আশা করি ভালোই অাছ। তোমার প্রেরিত পত্র মারফত জানতে পারলাম, শহরে বসবাস করার সুবাদে এবার অাসন্ন পহেলা বৈশাখে তুমি পান্তা ইলিশ ভক্ষণের মনস্থির করেছ। তুমি কি কখনো ভেবে দেখেছ পান্তা ইলিশ নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখের উৎসবী খাবার কি না?
সোনাবন্ধু, বাংলা নববর্ষের ইতিহাস হাজার বৎসরের। অপরদিকে, পান্তা ইলিশ ভক্ষণের ইতিহাস মাত্র কয়েক দশকের। ম্যাডাম ফুলি ও অাবুল চৌধুরী গোত্রের কিছু মানুষের ভঁড়ামো মানসিকতা থেকে পান্তা ইলিশ ভক্ষণের অপসংস্কৃতিটি চালু হয়েছে। ওরা সারা বছর পান্তা খাওয়ার সুযোগ পায় না। খেতেও পারে না। ভাবলো, পহেলা বৈশাখে খেলে কেমন হয়। সেই ভাঁড়ামো ভাবনা থেকে অানন্দচিত্তে গদগদ হয়ে ওরা বেছে নিল এ দিনটিকে। এদিকে, পান্তা খেতে গিয়ে মহাবিপত্তি। পেটে যে ঢুকে না। গন্ধ গন্ধ লাগে। গলায় অাটকে যায়। তাই পান্তার সাথে যোগ করে দিল ইলিশ। এবার মজা। বহুত মজা। গদগদিয়ে খাওয়া যায়। এই মজাটাকে অাবার হইহুল্লুড়ে অাস্বাদন করার জন্য ওরা পান্তা ইলিশকে নিয়ে এসেছে গাছতলায়।
সোনাবন্ধু, তুমি তো ভালো মনের মানুষ। তবে কেন পহেলা বৈশাখে যোগ দিবে পান্তা ইলিশ ভক্ষণের ভাঁড়ামোতে। ভাঁড়ামোতে যোগ দিও না। অপসংস্কৃতি লালন করিও না। লালন করিও স্বচ্ছ সংস্কৃতি। এদিন গরম ভাত খেয়ো। মিষ্টি মিঠাই খেয়ো। নির্মল অানন্দ করিও। অার মন চাইলে অামাকে স্বরন করিও। সময় করে অাসিও অামাদের অজপাড়া গাঁয়। নেমন্তন্ন রইল। তোমার অাগমনের অপেক্ষায় রইলাম।
পরিশেষে, তোমার শুভকামনা করছি।
ইতি,
তোমারই সোনাবান