শেরপুর প্রতিনিধি ঃ নকলা উপজেলার পাঁঠাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদুল ইসলামের (জীব বিজ্ঞান) পিতা-মৃত নয়ম উদ্দীন, বিরুদ্ধে ওই স্কুলেরই ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থী আশা বলেন, আমাকে ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে দু’তলার সিড়িঁতে দাঁড়িয়ে গায়ে হাত দিয়ে ৪/৫ মিনিট আটকে রেখেছে এবং স্যারের নকলা বাসায় যাইতে বলেছে পরের দিন। বাসায় গেলে রোল ০১ করে দিবে বলেছেন। শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি ডেকে নিয়েছি ঠিকই কিন্তু অন্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে আজকে যেটা হচ্ছে সেটার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।। ঘটনাটি ঘটে ১১ মার্চ সোমবার দুপুরের দিকে ৪র্থ তম ক্লাস চলা অবস্থায়। শিক্ষার্থী আশা সিঁড়ি থেকে চলে যাওয়ার পরে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমীন ও সাদিয়া ২জনকে জানান, কিন্তু ওই ২ শিক্ষিকা আশা’র পরিবারকে জানাতে নিষেধ করেন। এক পর্যায়ে ২ শিক্ষিকা কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ১৬ মার্চ সকালে শিক্ষার্থী আশা তার পরিবারকে নিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন প্রধান শিক্ষক বরাবরে। প্রধান শিক্ষক এবিএম বেনজীর রহমান অভিযোগকারীদের কোন সময় বা আশ্বাস না দেওয়ায় এবং এক শিক্ষকের উস্কানী মূলক বক্তব্যের কারনে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা ২টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ন্যায় বিচারের দাবীতে দফায় দফায় শ্লোগান নিয়ে রাস্তায় বের হয় এ সময় অনেক অভিভাবকও সাথে ছিলেন। পরে ১২টার দিকে ওসি তদন্ত আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে ১ স্কোয়াটন পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষক এবিএম বেনজীর হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ১৬ মার্চ শনিবার ১০টার দিকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি যেটাতে শ্লীলতাহানীর বিষয়ে লেখা আছে, আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রশিদ স্যারকে জানিয়েছি, তিনি বলেছেন তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে দোষীদের বিরুুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলেছেন। পরে সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রশিদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি একই কথা বলেছেন। উক্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি এরকম একটি ঘটনা তবে পুলিশ ঘটনা স্থলে যাচ্ছেন এবং সঠিক প্রতিবেদন তৈরি করবেন পরে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আশা’র পিতা মুজিবর রহমান বলেছেন, আমরা এখানে ন্যায় বিচার না পেলে আদালতে মামলা করাসহ জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবরে অভিযোগ দিবো তাও না হলে আমরা শিক্ষামন্ত্রী হয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে অনুলিপি পাঠাবো।