নেপাল ধরঃ ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এম এ কুদ্দুসের ছেলে আশফাক আল রাফি শাওন হত্যাকান্ডের পুণঃ তদন্ত, হত্যার সাথে প্রকৃত জড়িতেদর সনাক্তকরণসহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের দাবীতে সকাল ১২ টায় মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার শহরের ফিরোজ জাহাঙ্গীর চত্বরে সচেতন ময়মনসিংহবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে নিহতের পিতা এম এ কুদ্দুস তার বক্তব্যে বলেন, ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্র“য়ারী রাত পৌনে এগারটার দিকে একটি মোবাইলে তার ছেলে শাওনকে ডেকে আনা হয়। নাম প্রকাশ না করে বলেন, একজন সাংবাদিকের গাড়িযোগে বিভিন্নস্থানে রাতভর ঘোরানোর পর রাত পৌনে দুইটার দিকে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি আরো বলেন, আমি পরে মামলা করব যেনেও পুলিশ তড়িগড়ি করে বাদি হয়ে মামলা করেছে। মামলায় অনেকেই জড়িত না থাকলেও তাদেরকে আসামী করে হত্যাকান্ডের সাথে প্রকৃত জড়িতদের আড়াল করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে জড়িত না থাকলেও কতক আসামীদের রিমান্ডে এনে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের নাটক করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র আমার(পিতা) কাছে জমা রেখেছে বলে তাদের কাছ থেকে এ ধরণের স্বিকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে পুলিশ। কাদের স্বার্থে, কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কিসের বিনিময়ে তদন্তের নামে নাটক সৃষ্টি করে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে তড়িগড়ি করে চার্জসীট দিয়েছে পুলিশ। এ হত্যাকান্ডের পূর্ণ তদন্ত, অপরাধীদের মুখুস উন্মোচন, প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনাসহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের দাবী করেছেন। আবেগ আপ্লোত পিতা আরো বলেন, চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী নিহত হলেও সাংবাদিকরা অনেক লেখেন। আবার এ নিয়ে বড় বড় কলাম লেখা হয়, কিন্তু একজন রাজনীতিক শাওনকে গুলি করে হত্যা করা হলেও তা হয়নি। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বারকলিপি প্রদান করবেন বলেও তিনি দাবী করেন।
এর আগে নিহতের একমাত্র বড় বোন ইশরাত জাহান ফ্লোরা তার বক্তব্যে বলেন, আমার একমাত্র ভাই শাওন হত্যাকান্ডের তদন্তের নামে পুলিশ নাটক করেছে। মাত্র আধাঘন্টা সময় ধরে তদন্ত করেছে। তিনি রাত সাড়ে দশটা থেকে পৌনে দুইটা পর্যন্ত সময়ের মোবাইল কলসহ অন্যান্য সুত্র ধরে আরো অনেকের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবী করে বলেন, এ হত্যাাকান্ডে কাকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। রিমান্ডের নামে আসামীদের জামাই আদর করা হয়েছে। হত্যার এক বছরের বেশী সময় হলেও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার না করেই লুকচুরি নাটক সাজিয়ে তড়িগড়ি করে চার্জসীট দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ জন্য পুলিশ অর্থের খেলায় মেতেছিল। কোথা থেকে সেই অর্থ এসেছে। আর সেই টাকার উৎস কি। সঠিক ভাবে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। মানবন্ধনে রুবেল খান, মাহবুব আলম মামুন, আলী আহমেদ, রাসেল সীমান্ত, মির্জনা আক্তার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।