পূর্বময় ডেস্ক ঃ ব্রহ্মপুত্র নদ এশিয়া মহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ন নদী। সাংস্কৃতিক ভাষায় ব্রহ্মপুত্রের অর্থ হচ্ছে “ব্রহ্মার পুত্র”।বিস্তৃত শহরজুড়ে সাপের মতো পেচিয়ে যার অবস্থান। বর্তমান সমাজের কাছে এখনো তার পরিচিতি খরস্রোতা নদ কিন্তু ব্রহ্মার পুত্র যৌবন(নাব্যতা) হারিয়ে মরা খালে পরিনত হয়েছে।
ইতিহাস বলে,বাংলাদেশের প্রায় ২৫০ কি.মি. দীর্ঘ এই নদকে কেন্দ্র করে বহু বছর ধরে হাজার হাজার মানষ গড়ে তুলেছিলো নগর,শহর,বন্দর,হাট-বাজার এবং বসতি। লাখ লাখ হেক্টর আবাদের জমি ছিল এই নদের উপর নির্ভরশীল। যাতায়াতের সহজ মাধ্যমও ছিল এই ব্রহ্মাপুত্র নদটি। দুপুরের খরা রোদে ভাটায় নৌকা ছেড়ে দিয়ে মাঝি গাইত “ভাটিয়ালী গান”। নৌকা থেকে পাড়ে আসা ঢেউ যেন মনকে দোলা দিত।কেউবা অবসর সময়ে নদীর পাড়ে বর্শি নিয়ে বসে পড়ত।সেই সময়ে জোরে সুরে মাইক বাজিয়ে নদের বুকে ঢেউ তুলে নববধূকে ঘরে নিয়ে আনত। হাজারো গ্রামের আত্নীয়তার বন্ধন ছিল এই নদটি। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই সময়ের জীবন কাহিনী আজ শুধুই ইতিহাস।
সরেজমিনে দেখা যায়,নাব্যতা হারানো নদটি আজ বালু পড়ে চর হয়ে গিয়েছে। সেই দূর্গম নদটি আজ মানুষ পায়ে হেটেই পাড়ি দেয়। নৌকাগুলো সারি সারি ভাবে পাড়ে বাধা,বড় নৌকা,স্টিমার দেখা এখন বড়ই দুঃস্কর।
নাব্যতা হারানোর কারণ উজানে যমুনার উৎস মুখ ভরাট হয়ে যাওয়া।যার ফলে, স্রোতহীন ব্রহ্মপুত্রের তলদেশে পলি জমতে জমতে এখন সরু খালে পরিণত হয়েছে সেই সাথে শহরের আর্বজনা আর দখলবাজদের দখল দারিত্বসহ আরো রয়েছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। দু’পাড়ের হাজারো মানুষের আকুল আবেদন নদটিকে খনন করে নাব্যতা আনা হোক। সেই সাথে আর্বজনা নদে না ফেলা, দখলবাজ এবং বালু তোলার বিষয়ে সরকারকে উদ্যাগী হতে বলেন। হাজারো গ্রামবাসী আশা করেন ব্রহ্মপুত্রের জীবনে ১৮ নেমে আসবে,যার নাব্যতায় উপকৃত হবে দু’পাড়ের হাজারো মানুষ।