নিজস্ব প্রতিনিধি:
শ্যামনগর উপজেলার ০৫ নং কৈখালী ইউনিয়নের যাদবপুরে সাংবাদিকের উপর হামলা ও ক্যামেরা ছিনতায়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় যাদবপুর গ্রামের আলহাজ্ব মোমিন আলীর পুত্র , ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক , দৈনিক সাতক্ষীরার বার্তা পত্রিকার সাংবাদিক শেখ আলী মোর্তেজা বাদী হয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। সরজমিনে ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, যাদবপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল হাইয়ের পুত্র মোঃ সালাউদ্দীন শেখ , মৃত সোহরাব শেখের পুত্র খলিল শেখ , মৃত ইয়াকুব শেখের পুত্র ফরহাদ শেখ , মৃত ইয়াকুব শেখের পুত্র আশরাফ শেখ নিজেদের স্বার্থে পাবলিক হেলথ্ কর্তৃক পরিচালিত পিএসএফ এর আওতায় খাবার পানির পুকুর থেকে পানি উত্তোলন করে ধান ও আলুর চাষাবাদ করছে। যার ফলে খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গনমাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি হলে গতকাল ( শুক্রবার ) সকাল ৯.৩০ ঘটিকার দিকে দৈনিক পত্রদুত পত্রিকার সাংবাদিক মোঃ মনির হোসেন , আকতার হোসেন এবং দৈনিক সাতক্ষীরার বার্তা পত্রিকার সাংবদিক শেখ আলী মোর্তেজা সংবাদ সংগ্রহের জন্য উক্ত দিঘির পাড়ে উপস্থিত হয়ে ক্যামেরায় ছ্িব ধারন ও এলাকার জন সাধারনের সাথে আলাপ করতে থাকে। এ সময় সালাউদ্দীন ছুটে এসে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাচসহ মারতে অগ্রসর হয় এবং সাংবাদিক মনিনের কাছে থাকা কেনন ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় শেখ মুজিবর রহমান , মোঃ মোকারকসহ অনেকে উপস্থিতিতে সালাউদ্দীন ক্যামেরা নিয়ে চলে যায়। ঘটনাটি পরিষদ সংলগ্ম হওয়ায় উক্ত সময়ে কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি জানার পরে সালাউদ্দীনের সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে চেয়ারম্যানের সাথে খারাপ আচারন করে। এ সময় চেয়ারম্যান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন। এলাকাবাসী জানান, সালাউদ্দীন মাদক সেবনকারী এবং তার চাচাত ভাই প্রশাসনের সদস্য হওয়ায় সে কাউকে তোয়াক্কা করে না। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিল হোসেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।