শিমুল শাখাওয়াতঃ
প্রথমে এক পিকআপের সাথে প্রাইভেট কারের সংঘর্ষ, প্রাইভেট কারের সিএনজি বিস্ফোরণ!
এর পাশেই ছিল হোটেল, হোটেলে রান্না হচ্ছিল গ্যাসে, সেই গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ!
সাথে থাকা বৈদ্যুতিক খুটিতে ট্রান্সফর্মারে বিস্ফোরণ!
আগুন ছড়িয়ে গেল ভবনে, ছিল নেল পালিশের কেমিক্যালের গোডাউন থেকে শুরু করে পারফিউমের কেমিক্যাল। এমনকি লাইটার রিফিলের গ্যাসের ছোট ছোট জার। দুদিন আগেও সাত ট্রাক কেমিক্যাল ঢুকেছে।
ওয়াহিদ ম্যানসনের ওয়াহিদ সাহেব মারা গেছেন আগেই, তার দু’ছেলে এ ভবনে থাকতেন, ভাগ্যের কি পরিহাস, তারা যে কেমিক্যাল গোডাউন ভাড়া দিলেন, তার বিস্ফোরনেই প্রাণ গেছে নিজেদের পরিবারের লোকদের।
পরদিন ছুটি থাকায় অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা একটু গুছিয়ে নিচ্ছিলেন, সেই গোছানোয় চিরতরে গোছানো!
মৃতের সংখ্যা ৭৮, বাড়ার আশংকা, হতাহত অর্ধশত।
নিমতলি থেকে আমরা শিক্ষা নেইনি, কাজেই একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে।
প্রতিবছরই আমাদের বাংলাদেশ আমরা কোন না কোন ট্রাজেডি তে পড়ে যায়! থেমে যায় চলার পথ, স্তব্ধ হয়ে যায় কিছু কান্না, থমকে দাড়ায় আমাদের প্রিয় জন্মভূমি ! এর থেকে বেড় হওয়ার নেই কি কোন রাস্তা?
শোকে শোকার্ত মানুষগুলোর হাহাকারে আজ স্তব্ধ সারাদেশ। আমরা কি পারবো ওই মানুষগুলোর কান্নার মূল্য দিতে, মৃত্যুর মূল্য দিতে ?
এখন শুধু চারিদিকে ছাই আর মানুষ পোঁড়ার গন্ধ !
আল্লাহ্ তুমি সাহায্য কর।