কিছু নিষ্ঠুর সত্য. . .
.
আমরা হাজার কোটি টাকার দূর্নীতি চোখ মুখ বন্ধ করে খুব সহজেই হজম করতে পারি, কিন্তু কয়েকটা টাকার জন্য বাস কন্ডেকটারের গায়ে হাত তুলতে দ্বীধাবোধ করিনা।
.
কেউ মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা নিলে আমরা তাকে সন্ত্রাসী বলি, ঘর বাড়ি লুটপাট করলে বলি ডাকাত, আর সই করে যারা নেয় তাদের আমরা স্যার বলি।
.
খুনীকে ভয় পাই, মাদকসেবীর কাছ থেকে দুরে থাকি অথচ বড় গলায় বুক ফুলিয়ে বলি, “পাপীকে নয় পাপকে ঘৃণা করো”।
.
আমরা অফিসের বড় সাহেবকে দেখলে ভয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়িয়ে পরি, কিন্তু বাবার বয়সী রিক্সাওয়ালা পাঁচটা টাকা বেশি চাইলে তুই তোকারি করে গাল মন্দ করতে পিঁছুপা হইনা।
.
ছেলেরা ভালবাসা দিবসকে লুচ্চামি দিবস হিসেবে ঘোষিত করে ফেসবুকে ব্যঙ্গ করে পোস্ট দেয়
“আজ ফার্মেসি লাল, স্বেচ্ছায় ধর্ষিত হবে কিছু আপু”। মেয়ের সতীত্ব নষ্ট করা সেই ছেলেরাই আবার বিয়ের সময় সতী মেয়ে চায়।
.
আমরা মেয়েরা বিয়ে করার সময় ছেলের বাড়ি গাড়ি ব্যাংক ব্যালেন্স দেখি অথচ আমরাই বিয়ের পর বলি “আমার স্বামী আমার মন বোঝে না” আসলে যারা মন বোঝে তাদের আমরা বুঝতেই চাইনা।
.
সব ভায়েরাই চায় তার নিজের বোনের সাথে যেন কোন অন্যায় না হোক, কেউ প্রতারণা না করে কিন্তু অন্যদিকে সে নিজেই মেতে থাকে চাঁর পাঁচজন মেয়ের সাথে প্রেমের নামে মিথ্যে খেলায়।
.
পরের স্বামী বা বউয়ের সাথে পরকীয়া প্রেম করতে আমাদের খুব ভাল লাগে। খুব মজা লাগে অন্যের সংসারে অশান্তী করতে কিন্তু নিজ ভাই বা বোনের সাথে এই সব অন্যায় হলে আমাদের কলিজায় যেয়ে লাগে।
.
আমরা রক্ত গরম হলে অন্যের মা বোন তুলে গালি দেই, আজেবাজে কথা বলি, আর যদি কেউ আমাদের মা বোনকে নিয়ে কিছু বলে তা আমরা সহ্য করতে পারিনা। বাবা বা মায়ের কোনো দোষ নেই, অথবা দোষ নেই তার ভাই বা বোনের তবুও তার পরিবার তুলে গালাগালি করি।
.
নিজের মেয়েরা হয় তার বাবার পরী আর তার মায়ের রাজকন্যা। কত আদর যত্ন করে তাদের বড় করি অথচ যৌতুকের কারনে অপরের মেয়ের গায়ে আগুন দিতে বুক কাঁপে না, পেটাতে হাত কাঁপে না, মেরে ফেলার সময় বিবেক তাড়না করে না।
.
বাবার বয়সি রিক্সাওয়ালাকে থাপ্পর দেই, বাচ্চাদের সামনে নিজের বাবা মাকে অসম্মান করি অথচ আমরাই চাই আমাদের সন্তান আমাদেরকে সম্মান করুক।
.
আমরা নগ্নতা, নগ্ন দৃশ্য দেখতে খুব পছন্দ করি কিন্তু যে নগ্ন হয় তাকে কেউ পছন্দ করি না। যারা পেটের দায়ে শরীর বিক্রি করে তাদের আমরা মাগী বলি বেশ্যা বলি, আর মডেল হয়ে শরীর দিলে আমরা তাদের সেলিব্রেটি বলি, ফলোয়ার্স হয়ে থাকি।
.
সালাম মানে ‘আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক অথচ সালাম শুধু আমরা উপরের মানুষদেরই দেই। নামাজ পড়ার সময় আমরা সবার সাথে এক কাতারে দাঁড়াই কিন্তু বাসায় কাজের লোকের সাথে এক টেবিলে খেলে আমাদের ইজ্জতে যেয়ে লাগে।
.
এটাই বাস্তবতা!! এটাই সত্যি!!
—লিখা: ©️Meh Ek