পূর্বময় ডেস্ক ঃ বাংলদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১১৪ ধারার বিধান বাস্তবায়নে ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন দোকান প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেছে সরকারের শ্রম আইন বাস্তবায়নকারী সংস্থা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয়। উক্ত আইনের ১১৪(৩) ধারার বিধান মোতাবেক সকল দোকান রাত আট ঘটিকার পর বন্ধ রাখার বিধান রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ কার্যালয়ের উপ মহাপরিদর্শক মো: বুলবুল আহমেদ এর নেতৃত্বে দপ্তরের পরিদর্শকগণ ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন দোকান প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন। পরিদর্শনকালে যে সব দোকান প্রতিষ্ঠান রাত আটটার পর খোলা পাওয়া যায় সে সব দোকানের মালিক ও মালিকের প্রতিনিধিগণকে রাত আটটার পর খোলা দোকান বন্ধ রাখতে মৌখিকভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয় এবং শ্রম আইন বাস্তবায়নে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত জনসাধারণ, বিভিন্ন দোকানের মালিক-কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে উপ মহাপরিদর্শক মো: বুলবুল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১১৪(৩) ধারায় রাত আটটার পর দোকান খোলা না রাখার সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। তিনি বলেন, শ্রম আইন একটি কল্যাণমুখী আইন, তাই রেল স্টেশন এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস সংলগ্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রেতা দোকান, প্রধানত: তরি-তরকারী, মাংস, মাছ, দুগ্ধজাতীয় সামগ্রী, রুটি, পেস্ট্রি, মিষ্টি এবং ফুল বিক্রির দোকান, প্রধানত: ঔষধ, অপারেশন সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ অথবা চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান, দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর বিক্রির দোকান, প্রধানত: তামাক, সিগারেট, পান-বিড়ি, বরফ, খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান, এবং দোকানে বসে খাওয়ার জন্য (হালকা) নাশতা বিক্রির খুচরা দোকান, খুচরা পেট্রোল বিক্রির জন্য পেট্রোল পাম্প এবং মেরামত কারখানা নয় এমন মোটরগাড়ীর সার্ভিস ষ্টেশন, নাপিত বা কেশ প্রসাধনীর দোকান (বিউটি পার্লার) যে কোন ময়লা নিষ্কাশন অথবা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং জনগণকে শক্তি, আলো-অথবা পানি সরবরাহ করে এমনশিল্প , ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, হোটেল, রেঁস্তোরা, খাবার দোকান, সিনেমা, থিয়েটার প্রভৃতি এই বন্ধের আওতা মুক্ত থাকবে। সারাদিন কাজ শেষে শ্রমিক-কর্মচারী, মালিক সকলেরই বিশ্রাম ও চিত্তবিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাত আটটার পর দোকান বন্ধ করলে শ্রমিক-কর্মচারী, মালিক সকলেই এ সুযোগ পাবে, পরিবারের সদস্যদেরকে সময় দিতে পারবে।তিনি আরও বলেন, অনেক সময় দেখা যায় দোকানে কোন কেনাবেচা না থাকলেও শুধু দোকানে বসে আড্ডা দেওয়ার জন্য অনেকে দোকান খোলা রাখছে। তাই আইন মেনে দোকান বন্ধ করলে বিদ্যুৎও সাশ্রয় হবে। তিনি শ্রম আইন বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উপমহাপরিদর্শকের সাথে কার্যালয়ের সহকারী মহাপরিদর্শক (সাধারণ) আহমেদ মাসুদ, শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) মো: আমিরুল ইসলাম,শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ), মো: শাহ আলম, শ্রম পরিদর্শক (স্বাস্থ্য) নন্দন চক্রবর্তী,এবং শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত থেকে অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন। এসময় বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যমেরাম্যান ও দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো: ইব্রাহিম মুকুট উপস্থিত ছিলেন।