পূর্বময় ডেস্ক ঃ বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ সোনালী কাবিন এর লেখক কবি আল মাহমুদ ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক রাত ১১.০০ টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৮২ বছর।
উল্লেখ্য ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কবি আল মাহমুদ। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনারত অবস্থায়ই তিনি লেখালেখি শুরু করেছিলেন। মাত্র আঠারো বছর বয়সেই তার কবিতা প্রকাশ পাওয়া শুরু করে। লোক লোকান্তর কাব্যগ্রন্থ তাকে স্বনামধন্য কবিদের জায়গায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাঁর একের পর এক বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ তাঁকে স্মরণীয় করে রাখে।
কবি আল মাহমুদের লেখার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৬৬), মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো (১৯৭৬), আরব্য রজনীর রাজহাঁস, বখতিয়ারের ঘোড়া, অদৃশ্যবাদীদের রান্নাবান্না, Al Mahmud In English, দিনযাপন, দ্বিতীয় ভাঙ্গন, একটি পাখি লেজ ঝোলা, পাখির কাছে ফুলের কাছে, আল মাহমুদের গল্প, গল্পসমগ্র, প্রেমের গল্প, যেভাবে বেড়ে উঠি, কিশোর সমগ্র, কবির আত্মবিশ্বাস, কবিতাসমগ্র, পানকৌড়ির রক্ত, সৌরভের কাছে পরাজিত, গন্ধ বণিক, ময়ূরীর মুখ, না কোন শূন্যতা মানি না, নদীর ভেতরের নদী, প্রেম ও ভালোবাসার কবিতা, প্রেম প্রকৃতির দ্রোহ আর প্রার্থনা কবিতা, প্রেমের কবিতা সমগ্র, উপমহাদেশ, বিচূর্ণ আয়নায় কবির মুখ, তোমার গন্ধে ফুল ফুটেছে (২০১৫), ছায়ায় ঢাকা মায়ার পাহাড় (রূপকথা), ত্রিশেরা, উড়াল কাব্য। এছাড়াও ছোটদের জন্য লিখেছেন ছড়া ও কবিতা।
তাঁর সাহিত্য জীবনে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৮), জয় বাংলা পুরস্কার (১৯৭২), হুমায়ুন কবীর স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭২),জীবনানন্দ স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭২), কাজী মোতাহার হোসেন সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৬), কবি জসীম উদ্দিন পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৬), একুশে পদক (১৯৮৬), নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক (১৯৯০), ভানুসিংহ সম্মাননা পদক (২০০৪), লালন পুরস্কার (২০১১) পেয়েছেন।