চীনের শিনজিয়ান প্রদেশে অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী অধিবাসীরা আটকা পড়েছে বলে দাবি করছে অস্ট্রেলিয়ায় উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা। এ নিয়ে তারা সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান সোমবার জানিয়েছে যে অন্তত ১৭ জন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিককে গৃহবন্দি, কারাগারে অথবা শিনজিয়ানের পশ্চিম অঞ্চলের তথাকথিত শিক্ষাশিবির কেন্দ্রে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও কিছু উইঘুর পূর্ব তুর্কিস্তানের উল্লেখ করা হয়েছে।
আটক অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা চীনে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আর অন্যরা তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। উইঘুর অস্ট্রেলিয়ান কর্মী নুরগুল সোয়াত আটক ১৭ জনের ব্যাপারে গার্ডিয়ানকে জানান, তারা চীনে পৌঁছানোর পরে তাদের পাসপোর্ট নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। কারণ তাদের হাতে চীন পাসপোর্ট ছিল। যদিও তাদের স্থায়ী বাসস্থান আছে।
আমরা শুধুমাত্র শিনজিয়ানে ১৭ জনের ফেরার ব্যাপারে কথা বলিনি। আমরা তাদের অস্ট্রেলিয়ায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের ১৭ জনের পরিবার ধ্বংসের মুখে। তারা তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারছে না। তারা মানসিক এবং শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বললেন ওই উইঘুর কর্মী।
পূর্ব তুকিস্তানের অস্ট্রেলিয়ান সংস্থার সভাপতি নুর মোহাম্মদ মাজিদ বলেন, এটা আমাদের জন্য অবাক করা বিষয় না। আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষ বলেছে ২০১৭ সাল থেকে পূর্ব তুর্কিস্তানে তাদের পরিবারের সদস্যরা সমস্যায় রয়েছে। এদিকে শিনজিয়াং এ আটক অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়ক দফতর বলে, এটি সচেতন নয়।
আলজাজিরাকে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সচেতন, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার পরিবার এবং বন্ধুরা শিনজিয়ানের ভ্রমণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে না।
এদের মধ্যে কয়েকজন রয়েছেন যারা অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা তবে তাদের পতœী ভিসা রয়েছে। যেখানে অস্ট্রেলিয়ান পরিবারের সদস্যরা অনুরোধ করেন আটকদের ব্যাপারে খোঁজ নিতে। আমরা চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই ব্যক্তিদের অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।
অস্ট্রেলিয়াতে ৬০০ উইঘুর পরিবার বসবাস করছে। যাদের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। কিছু উইঘুর স্থায়ী বাসিন্দা হতে হাজার হাজার ডলার খরচ করেন বললেন ইটিএএর মাজিদ।