ডেস্ক রিপোর্টঃ
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের জিপ চালক আব্দুল গফফারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত শনিবার গ্রেফতার করে শ্যামনগর থানা পুলিশ। এঘটনায় আব্দুল গফফারকে সম্পুর্ণ নির্দোষ বলে দাবী করেছে এলাকার মানুষেরা। এলাকা সুত্রে জানা যায়, আব্দুল গফফারের সাথে বাদঘাটা গ্রামে ৪ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিমের নিকটাত্মীয়ের সাথে বিবাদ চলমান থাকায় আব্দুল গফফারকে ফাসানো হয়েছে।এলাকার একাধিক মানুষ জানান ভিকটিমের মা কয়েকদিন আগে ঢাকাতে একজনকে ফাসিয়ে সত্তর হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলাকায় চলে এসেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক অনৈতিক কাজের প্রমাণ রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা যায় ভিকটিম ১ঃ৫০ মিনিটে উপজেলা চত্বর প্রবেশ করে সে ১১ মিনিটের মাথা উপজেলা চত্বর থেকে বের হয়ে যায়। উপজেলা চত্বরে প্রবেশের দ্বারপ্রান্ত থেকে গফফারের রুম পর্যন্ত যেতে কমপক্ষে ৪/৫ মিনিট সময় লাগে, আসতেও ৪/৫ মিনিট সময় লাগে। তাহলে ১/২ মিনিটের মধ্যে কিভাবে একজন ব্যক্তিকে ধর্ষণ করতে পারে এমন প্রশ্ন এলাকার মানুষের মুখে মুখে।উপজেলা চত্বর থেকে বের হওয়ার সময় তাকে কোনো প্রকার অস্বাভাবিক দেখা যায়নি। এছাড়া বাড়ি ফেরার দীর্ঘক্ষণ পরে তার মাকে শ্যামনগর থানায় রিপোর্ট করতে দেখা যায়। সবমিলিয়ে ড্রাইভার গফফার ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী।