আসাদ তালুকদার:
কালের আবর্তে নেত্রকোনার বেশ গ্রামগঞ্জগুলো থেকে ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। এসব ঘর শীত ও গরম মওসুমে আরামদায়ক। তাই আরামের জন্য গ্রামের দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি অনেক বিত্তবান ও মাটির ঘর তৈরি করতেন।
“গাও-গেরামের মানুষের এসি ঘর” হিসেবে খ্যাত মাটির তৈরী ঘর। অতীতে মাটির ঘর গরীবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর বলে পরিচিত থাকলেও এখন আর থাকছে না। ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাচাঁর পাশাপাশি প্রচুর গরম ও খুবই শীতে আদর্শ বাস-উপযোগী মাটির তৈরি এসব ঘর। আগের মতো এখন আর তেমন একটা নজরে পড়ে না এই মাটির ঘর-বাড়ী।
সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা কাদের মিয়া(৬৫) জানান , এঁটেল বা আঠালো মাটি কাদায় পরিণত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হত। ১০-১৫ ফুট উচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার ওপর খড়-কুটা অথবা ডেউটিনের ছাউনি দেয়া হত। আর এই মাটির ঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হয়। সব ঘর বড় মাপের হয় না। গৃহিনীরা মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আল্পনা একে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন।