বাবলী আকন্দঃ
মাদক ধ্বংস করছে ব্যক্তি, পরিবার। মাদকের কালো থাবা বিস্তার করেছে দেশের সর্বত্র। তরুন প্রজন্মের একটি বৃহৎ অংশ অাজ মাদকাসক্ত। মাদকের কারন হচ্ছে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড। অপরদিকে মাদক ব্যবসায়ী এবং এর অাশ্রয়দাতা গডফাদাররা কালো টাকার কুমির হচ্ছে।
মাদকের ভয়াবহতা অনুধাবন করে গণমূখী সংগঠন সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ দীর্ঘদিন যাবত মাদকবিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে অাসছে। গত ১৯ অাগস্ট ২০১৭ তারিখ সংগঠনটি ময়মনসিংহ শহরস্থ শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্ত্বরে মাদকমুক্ত সমাজের দাবীতে মাদকবিরোধী মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে মাদক ব্যবসায়ী এবং এর অাশ্রয়দাতা গডফাদারদের জাতীয় শত্রু ও গণদুশমন অাখ্যায়িত করে এদের বিরুদ্ধে যথাযথ কঠোর প্রদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি অাহবান জানানো হয়।
গত বছর সরকার কর্তৃক মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হলে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ ‘রুখো মাদক, বাঁচাও দেশ’ শিরোনামে পোস্টার প্রকাশ করে। ময়মনসিংহ শহর, নান্দাইল উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করে। তারই ধারাবাহিকতায় ১১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখ ভালুকার সীডস্টোর বাজারে মাদকবিরোধী পোস্টারিং করা হয়।
মাদকবিরোধী কার্যক্রম সম্পর্কে সংগঠনটির সহ-সভাপতি অাব্দুল হান্নান বলেন, মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। শুধু সরকারের দ্বারা এ সামাজিক ব্যাধিকে দূর করা সম্ভব নয়। মাদক নির্মূল করতে হলে মাদকবিরোধী সামাজিক অান্দোলন গড়ে তুলে সচেতন জনগণকেও এগিয়ে অাসতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। সামাজিক প্রতিরোধ ব্যতীত সমাজ থেকে পুরোপুরি মাদক নির্মূল হবে না। এ বিষয়টি অনুধাবন করে মাদকবিরোধী সামাজিক অান্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য অামরা অামাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি নিজ নিজ এলাকায় নিজ নিজ দায়িত্বে মাদকবিরোধী সামাজিক অান্দোলন গড়ে তোলার জন্য সচেতন মানুষদের প্রতি অাহবান জানান। জনতার ঐক্যবদ্ধ সামাজিক প্রতিরোধে সমাজ থেকে মাদক নির্মূল হবে বলে তিনি দৃঢ় অাশাব্যক্ত করেন।