আসাদ তালুকদার:
কনকনে শীতের সমার্থক ‘মাঘ মাস’ যাকে নেত্রকোণার আঞ্চলিক ভাষায় “মাঘমাইস্যা শীত” বলা হয় পঞ্জিকার শাসন মোতাবেক বহাল থাকলেও প্রাকৃতিক আয়োজন বলে দিচ্ছে, শীত বিদায় নিচ্ছে। তাপমাত্রাও বাড়তে শুরু করেছে। কালো কোকিলের সূর মূর্ছনা ইতোমধ্যেই জানান দিয়েছে বাংলা প্রকৃতিতে ঋতুরাজ সমাগত। সোমবার(২৮ জানুয়ারি) ছিল ১৬ মাঘ। অর্থাৎ বাঘ কাঁপানো শীত অনুভূত হয় যে মাসে সে মাসের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি রয়েছে। বিগত সপ্তাহ দুয়েকের ধারাবাহিকতায় এদিনও নেত্রকোনায় দিবাভাগে গরম অনুভূত হয়েছে। রোদের তেজ বিশেষ করে তারুণ্যের গায়ে জ্বালা ধরাচ্ছে। অবশ্য বুড়ো, অসুস্থ ব্যক্তিদের কাছে এ রোদ এখনো সকাল-বিকালে বেশ আরামদায়ক মনে হয়। শহরের উদ্যানগুলো এখন বাহারী ফুলে ভরা। বৃক্ষ শাখা নব পল্লবিত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সবুজ-শ্যামল গাছ-গাছালী ভরা এ জনপদে শীতহীন দুপুরে কোকিলের ডাক যে কারো পথ চলাকেথমকে দিচ্ছে। গাছের পাতার আড়াল থেকে থেমে থেমে ‘কু’-উ-উ’ ‘কু-উ’উ’ রব প্রকৃতি প্রেমিকদের জানিয়ে দেয় ফালগুন তলা বসন্ত আসছে। জেলা সদরের বাইরে প্রত্যন্ত জনপদে রাতে শীত অনুভূত হলেও সকালের পর থেকে নাতিশীতোষ্ণ ভাব বিরাজ করছে। শীতবস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা ধীরে ধীরে কমে আসছে। বরং কখনো গরম থেকে বাঁচার অবলম্বন খুঁজতে হচ্ছে।